স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজশাহীর অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যানে সকল কাজ করছেন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহীর উন্নয়ন কাজ যেভাবে চলছে, আগামীতে রাজশাহী দেশসেরা অনন্য মহানগরীতে পরিণত হবে। রাজশাহী অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, উজ্জ্বল ইতিহাস, ঊর্বর ভূমি, ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থাসহ এর উপযোগিতা কাজে লাগাতে হবে।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান। এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এলজিআরডি মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহীর উপযোগিতা অনুযায়ী অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব। জনবসতি, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উপযুক্ত জায়গা এটি। এ অঞ্চলে যে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে এ শহর দেশের মধ্যে একটি অনন্য নগরীতে রূপান্তরিত হবে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে অনেক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং উন্নয়নের স্বার্থ প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে বলে।
তিনি আরো বলেন, নগরীর ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন প্রকল্প নেয়া হলে সে গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হবে। তবে যে কোন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনগণের বিষয়টি মাথায় রেখে করতে হবে। কারণ সকল উন্নয়নই মানুষের কল্যাণের জন্য।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজশাহী নগরী এবং আশপাশের মানুষের নিকট সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প নেয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।রাজশাহীর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সামগ্রিকভাবে মানুষের জীবন মানোন্নয়নে যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে বলে জানান তিনি।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার যেমনি রয়েছে তেমনি না করারও অধিকার রয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এর কাজ চলমান রয়েছে। এই মাস্টর প্ল্যানের মাধ্যমে যাতে করে দীর্ঘমেয়াদি চাহিদা পূরণ করে টেকসই উন্নয়ন করা যায় সে জন্য কাজ করা হচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে শহর, গ্রাম-গঞ্জে যে যেখানেই বসবাস করুক না কেন সবাই রাষ্ট্রের প্রদেয় সকল নাগরিক সুবিধা পাবেন। সবার উন্নত জীবন ব্যবস্থা করতে পারলেই বাংলাদেশে উন্নত হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব (নগর উন্নয়ন -১ অধিশাখা) মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, উপসচিব সিটি কর্পোরেশন – ২) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল প্রমুখ
Post a Comment